বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক এবং টিভি ক্যামেরার সামনে নারী ফুটবলারকে চুমু দেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই ঘটনার জেরে চাকরি হারানোর পর এবার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন রুবিয়ালেস।
এদিকে স্প্যানিশ নারী ফুটবলার হেনিফার হারমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্পেন ফুটবলের বড় কর্তা। ঘটনার জেরে প্রথমে চাকরি হারান তিনি। বিষয়টি তদন্তের পর এবার বিচারের জন্য তোলা হয়েছে আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে তাকে।
হেনিফারকে চুমু দেয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মার্তা দুরান্তেজ ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছেন। এমন অপরাধের শাস্তি হিসেবে রুবিয়ালেসকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার দাবিও জানান তিনি।
এদিকে যৌন নিপীড়নের জন্য ১ বছর এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন দুরান্তেজ। তিনি আরও দাবি করেছেন, হারমোসোকে ৫০ হাজার ইউরো (৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রুবিয়ালেসকে।
দুরান্তেজের অভিযোগ আছে স্পেন নারী দলকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ হোর্হে ভিলদা, ফেডারেশনের বর্তমান ক্রীড়া পরিচালক আলবার্ত লুকি, ফেডারেশনের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান রুবেন রিভেরার বিরুদ্ধেও। রুবিয়ালেসকে সমর্থন জানানো এবং ‘চুমুটি দুজনের সম্মতিতেই হয়েছিল’—হারমোসোকে দিয়ে জোর করে এমন কথা বলানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে ভিলদা, লুকি ও রিভেরার শাস্তি হিসেবে দেড় বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এছাড়া হারমোসোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রুবিয়ালেস, ভিলদা, লুকি ও রিভেরাকে যৌথভাবে আরও ৫০ হাজার ইউরো দিতে বলেছেন। তবে আদালতে উপস্থিত হয়ে ভিলদা, লুকি ও রিভেরা তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত বছরের ২২ আগস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার নারী ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। পুরস্কার বিতরণের সময় মিডফিল্ডার হেনিফার হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা রুবিয়ালেস। পরবর্তীতে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন রুবিয়ালেস। তবুও স্পেন ফুটবল প্রধানের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে।